Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মেহেরপুর জেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

ক্রম

নাম

জন্মতারিখ ও জন্মস্থান

মৃত্যুতারিখ

কোনবিষয়ে বিখ্যাত, জীবন, পুরস্কার/খেতাব

০১

মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস

১৯২৬খ্রিঃ

২১মার্চ, ১৯৯০

তিনি ১৯২৬খ্রি. নদিয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুর মহকুমার লালবাজার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসেন বিশ্বাস এবং মাতার নাম মোছাম্মাৎ ছামছুন নেছা। তিনি চুয়াডাঙ্গা ভি.জে. হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। এরপর কৃষ্ণনগর ও রাজশাহী সরকারি কলেজে পড়াশুনা করেন। ১৯৫০খ্রি. পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৫১খ্রি. তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫১-৫৮খ্রি. ও ১৯৬৪-৬৮খ্রি. তিনি মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক এবং পরে সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৯খ্রি.- ১৯৯০খ্রি.(মৃত্যু) পর্যন্ত জনাব ছহিউদ্দিন মেহেরপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং পরবর্তীকালে অন্যান্য গণ-আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০খ্রি. তিনি তৎকালীন জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি বিশেষ সক্রিয় ভূমিকা নেন। তিনি মুজিবনগরে অভ্যর্থনা শিবির এবং গেরিলা শিবির প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি ৮নম্বর সেক্টরে “৩” সি কোম্পানীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭২-৭৩খ্রি. জনাব ছহিউদ্দিন মেহেরপুর মহকুমা সাহায্য ও পূনর্বাসন কমিটি এবং রেডক্রসের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭২খ্রি থেকে ১৯৭৫খ্রি. মে মাস পর্যন্ত তিনি মেহেরপুর মহাবিদ্যালয় গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বহুদিন মেহেরপুর মহকুমা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং ১৯৫৮-৬৫ খ্রি. মেহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও কমিশনার ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন মেহেরপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক ও বড়বাজার মসজিদ কমিটির চেয়াম্যান ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠানের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৭০খ্রি. , ১৯৭৩ খ্রি., ও ১৯৮৬খ্রি. নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং আমৃত্যু আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ১৯৭৫খ্রি. বঙ্গবন্ধু ঘোষিত মহেরপুর জেলার গভর্ণর মনোনীত হন। তিনি ২১মার্চ ১৯৯০খ্রি. মেহেরপুর নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।

০২

আ.ক.ম. ইদ্রীস আলী

-

২৮ মার্চ, ২০০০

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও মুজিবনগর ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

০৩

সাধক আতাহার সাহ

১৯৪৬খ্রিঃ নদীয়া জেলার হাতিছালা গ্রামে

১৯৯৯খ্রিঃ

তিনি একজন মরমী সাধক এবং পেশাগত জীবনে তিনি একজন মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন।

০৪

আব্দুল মান্নান

৭অক্টোবর, ১৯৪২

-

তিনি একজন শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ। তিনি সোভিয়েত রাশিয়া থেকে সমবায়ের উপর ডিপ্লোমা অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকাপালন করেছেন।

০৫

ড. আবদূর রশিদ

১জানুযারি, ১৯৬০ গাংনী উপজেলার সাহারবাটী গ্রামে

-

তিনি একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসীতে ১ম শ্রেণীতে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে ব্রিটেন থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করে। পেশাগত জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের ডীন হিসেবে কর্মরত আছেন।

০৬

আরজান সাহ

-

-

তিনি একজন মরমী সাধক ছিলেন। তিনি লালন শাহের উত্তরসূরী হিসেবে অনেক গানে সুর দিয়েছেন। বিভিন্ন সাহিত্যেতাঁর জ্ঞান ছিল অসাধারণ। তিনি একজন পদাবলী রচয়ীতা। ১৯৮৬ সালে ‘‘আরজান সাহপদাবলী’’ নামে তার লেখা প্রকাশপেয়েছে।

০৭

কিরণ কুমার বোস

-

২৫মার্চ, ১৯৭১

তিনি একজন লেখক ছিলেন। তিনি ‘‘দস্যু ডাঃ হুইপ’’ গ্রন্থের রচয়ীতা।

০৮

প্রসেনজিৎ বোস বাবুয়া

১০ অক্টোবর, ১৯৪০

-

তিনি একজন নাট্য অভিনেতা। তিনি বাংলাদেশ চলচিত্রেও অনেক অবদান রেখেছেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নাটকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন।

০৯

মীর মোজাফ্ফর আলী

-

১৮অক্টোবর, ১৯৯১

তিনি জাতীয় পর্যায়ের একজন সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। সঙ্গীত ভূবনে তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত বিভাগের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১০

আজাদ শাহ

৯ পৌষ ১৩২২ নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার হরিপুর

১০ ভাদ্র, ১৩১৪ বঙ্গাব্দ

মরমী সাধক ও চারণ কবি, ধর্ম, দর্শন, বৈষ্ণব সাহিত্য, জন্মান্তরবাদ, শরিয়ত, মারফত বিষয়ে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি চারশত গান ও পদাবলী রচনা করেন।

১১

ডক্টর গোলাম কিবরিয়া

৯ নভেম্বর, ১৯৪৪ মেহেরপুর জেলার দারিয়াপুর গ্রামে

১০নভেম্বর, ১৯৮৫

তিনি একজন অর্থনীতিবিদ ছিলেন। ১৯৬৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স লাভ করেন। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া নিউক্যাসেল ইউনিভারসিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রীলাভ করেন।

১২

ভবানন্দ মজুমদার

-

-

তিনি নদীয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাদশাহ আকবর প্রদত্ত ফরমানে রাজত্ব লাভ করে নদীয়ায় রাজধানী স্থাপন করেন।

১৩

বলরাম হাড়ীঁ

-

৩১অগ্রহায়ণ ১২৫৭ বঙ্গাব্দ

তিনি হাড়ীঁ  সম্প্রদায়ের প্রবক্তা ও প্রখ্যাত মরমী সাধক। তিনি বৌদ্ধ ধর্মানুযায়ী আধ্যাত্নিক জ্ঞান অর্জন করে মেহেরপুর মালোপাড়ায় ধর্ম প্রচারে নিজেকে ব্রত করেন।

১৪

নুরুল হক

১জানুয়ারি, ১৯১৫

গাংনী উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামে

২৭আগস্ট ১৯৯৮

তিনি একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি রাজনীতিও করতেন। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর ক্যাপ্টেন ইন চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিরল প্রজ্ঞা ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী নুরুল হক ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতে হাত মিলিয়ে আন্দোলন করেন। ১৯৭১ সালে গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তিনি সাহসী ভূমিকা রেখেছেন।

১৫

ড. মোঃ মোজাম্মেল হক

৩মার্চ ১৯৩৯ মেহেরপুর জেলার রাইপুর গ্রামে

-

তিনি একজন পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ। ১৯৬১ সালে এমএসসি ডিগ্রী লাভের পর ১৯৬৭ সালে ইল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডীন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৬

মোঃ শাহ আলম

-

২৯মে, ১৯৯০

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সেনা সদস্য ছিলেন। সাফ গেমসের ইতিহাসে স্বর্ণপদক লাভ করে তিনি দুবার দ্রুততম মানবহবার গৌরব অর্জন করেন। তিনি মস্কো অলিম্পিক এ্যাথলেটিক্সে ৫ম, সিউল অলিম্পিকে ৭ম এবং কমনওয়েলথ গেমসে ৯ম স্থান অধিকার করেন।

১৭

অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন (দোদুল)

মেহেরপুর জেলার সদরে

-

তিনি একজন রাজনীতিবিদ। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩ মেহেরপুর-১ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এবং ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৩ (মেহেরপুর-১) আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত মোহাম্মদ সহিউদ্দিনের সুযোগ্য পুত্র।

তিনি  ঢাকা সিটি কলেজের  অধ্যাপক ছিলেন।

তথ্যসূত্রঃ

১। মেহেরেপুরের ইতিহাস - সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।

২। মেহেরপুর জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য - তোজাম্মেল আজম।

৩। মেহেরপিডিয়া- জনাব মোঃ জিয়াউর রহমান খান, প্রাক্তন জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর।