মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মুতি কর্মপ্লেক্সের মধ্যে পর্যটন মোটেলটি অবস্থিত। পর্যটন মোটেলটি পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অধীন সুন্দর ও আধূনিক সুবিধা সম্বলিত। মোটেলটিতে ভি.আই.পি স্যুটসহ অনেকগুলো রেষ্টরুম রয়েছে। নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে এখানে অবস্থান করা যায়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুর প্রাক্কালে মেহেরপুর জেলার তৎকালীন বৈদ্যনাথতালা (বর্তমানে মুজিবনগর) নামক স্থানে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করেন বাংলাদেশের প্রথম সরকার, পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এখানে আছে বঙ্গবন্ধু তোরণ, অডিটোরিয়াম, শেখ হাসিনা মঞ্চ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র, মসজিদ, হেলিপ্যাড, ২৩টি কংক্রিটের ত্রিকোণ দেয়ালের সমন্বয়ে উদিয়মান সূর্যের প্রতিকৃতিকে প্রতীক করে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, প্রশাসনিক ভবন, টেনিস মাঠ, পর্যটন মোটেল, স্বাধীনতা মাঠ, স্বাধীনতা পাঠাগার, বিশ্রামাগার, পোস্ট অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, শিশুপল্লী, ডরমেটরি ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র। কমপ্লেক্সের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে ভাস্কর্য। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া সম্মেলন, বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠান, পাকবাহিনীর আত্নসমর্পণ, রাজাকার-আলবদর এর সহযোগিতায় বাঙালি নারী-পুরুষের ওপর পাকহানাদার বাহিনীর নির্যাতনসহ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস