মেহেরপুর ডায়াবেটিস হাসপাতালঃ
জনাব মোঃ জামাল উদ্দনি আহমেদ, জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর গত ০৫ মার্চ, ২০১০ তারিখে মেহেরপুর সার্কিট হাউজ রোডে মেহেরপুর ডায়াবেটিস হাসপাতাল স্থাপন করেন। ডায়াবেটিস রোগীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় ক্যাম্পিং করা হচ্ছে।
গত ০৫.১০.২০১১ তারিখে এ জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রের ব্যপ্তি ও প্রসারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পদক/পুরস্কার প্রদান, মেধাবী/দরিদ্রদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, যৌতুক, বাল্য বিবাহ ও ইভটিজিং রোধে রচনা ও মেধা বিকাশ প্রতিযোগিতার আয়োজন ইত্যাদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসক ফাউন্ডেশন-এর যাত্রা শুরু হয়েছে। ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরুর প্রথম প্রহরে খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব), জনাব মোঃ সেরাজুল ইসলাম, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ফাউন্ডেশনের পথ চলার শুভ উদ্বোধন করেন। এ জেলার পাঁচ জন দরিদ্র প্রতিবন্ধীর মাঝে হুহুল চেয়ার বিতরণ, মেহেরপুর জেলা কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডসহ তিনটি ওয়ার্ড রঙিন টেলিভিশন প্রদান এবং এক জন মৃত কর্মচারীর সন্তানকে শিক্ষাবত্তি প্রদানের মধ্য দিয়ে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম র্শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য এ জেলায় জনাব মোঃ নূরুন নবী তালুকদার, জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর এর সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০০৫ সালে মেহেরপুরে ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করলেও একই নামে একটি এনজিও এ জেলায় কাজ করছে। এতদসংক্রান্তে মেহেরপুর ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম জেলা প্রশাসক ফাউন্ডেশনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
মেহেরপুর ফাউন্ডেশনঃ
জনাব মোঃ নূরুন নবী তালুকদার, জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর ২০০৫ সালে মেহেরপুরে শিক্ষার মান উন্নয়ন, মানসম্মত শিক্ষার প্রসার, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তার লক্ষে ‘মেহেরপুর ফাউন্ডেশন’ গঠন করেন।
মেহেরপিডিয়াঃ
জনাব মোঃ জিয়াউর রহমান খান, জেলা প্রশাসক, মেহেরপুর ২০০৮ সনে "মেহেরপিডিয়া’’ নামক একটি তথ্যচিত্র তৈরী করেন। উক্ত তথ্যচিত্রে সিডি আকারে মেহেরপুর জেলার ইতিহাস/ঐতিহ্য/প্রকৃতি/সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
মুজিবনগর উপজেলা প্রতিষ্ঠা এবং মুজিবনগর কমপ্লেক্সঃ
১৯৯৭ সালে মেহেরপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ সামসুল হক মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত মেহেরপুরের মুজিবনগরের স্মৃতি রক্ষার্থে মুজিবনগরকে উপজেলা ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরার লক্ষে এখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট প্রস্তাব প্রেরণ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সরকার মেহেরপুর সদর উপজেলার ০৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে মুজিবনগরকে উপজেলা ঘোষণা করেন। ২০০০ সালের ২৪ ফেব্ব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিবনগর উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। তৎকালীন সরকার মুজিবনগরে মুজিবনগর কমপ্লেক্সে-এর মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরসমূহ চিহ্নিতকরণ বাংলাদেশের মানচিত্র, ঐতিহাসিক ০৬ দফাভিত্তিক ০৬ উদ্যানের গোলাপবাগান, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, পর্যটন মোটেল ইত্যাদি প্রকল্প গ্রহণ করেন। মুজিবনগরে গৃহীত সরকারের এ সকল উন্নয়ন কর্মসূচি বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন আছে।
স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন এবং ধূমপানবিরোধী অভিযানঃ
১৯৯৪ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ ইসহাক আলী জেলার প্রতিটি পরিবারে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং ধূমপানরোধে কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে ব্যাপক প্রচারণার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারে সে সময় জেলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়। তবে ধূমপানবিরোধী কার্যক্রমে তেমন পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়নি।
বাল্যবিবাহমুক্ত মেহেরপুর গঠনঃ
২০১৫ সালে যোগদানের পর থেকে মেহেরপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম বাল্যবিবাহমুক্ত মেহেরপুর গঠনের জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন। তার মতে যে জাতির মধ্যে থেকে বাল্যবিবাহের অভিশাপ মুক্ত করা যাবে না সে জাতির উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়। তিনি দিন-রাত নিজে এবং তার প্রশাসনের সহযোগিতায় মেহেরপুর জেলার সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ব্যাপক কর্মতৎপরতা শুরু করেন। বাল্যবিবাহের সাথে জড়িত সকল শ্রেণীর মানুষ কাজী, পেশ-ইমাম, চেয়ারম্যান, মেম্বর,ঘটক, অভিভাবক, শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,জনপ্রতিনিধি সবাইকে নিয়ে উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি মানুষের বাড়ির উঠানে পর্যন্ত মত-বিনিময় সভা করেন এবং সকলকে বাল্যবিবাহের কুফল সর্ম্পকে জানাতে থাকেন। দিনে রাতে যখনই তাঁর নিকট বাল্যবিবাহের খবর আসত তিনি তৎক্ষনাত তার প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতেন। যদি কোন ম্যাজিস্টেটের কমতি থাকতো বা দেরী হতে পারে বলে অনুমান করতেন তখন তিনি নিজেই বেড়িযে পড়তেন তা প্রতিরোধ করতে। এক পর্যায়ে মেহেরপুর জেলায় বাল্যবিবাহের হার শূন্যের কোঠায় মেনে আসে ফলশ্রুতিতে মন্ত্রীপরিষদ সচিব জনাব শফিউল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গত ২৭শে ফেব্রয়ারী২০১৬খ্রিঃ মেহেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে প্রায়২০ হাজার লোকের উপস্থিতে মেহেরপুর জেলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত জেলা ঘোষনা করেন।এরই ধারাবাহিকায় এবং বর্তমান সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মেহেরপুর জেলা আজ বাল্যবিবাহের অভিশাপমুক্ত রয়েছে। বাল্যবিবাহমুক্ত জেলা হিসেবে মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যে রোল মডেল জেলা হিসাবে পরিগণিত।
ওয়েব সাইট স্থাপনঃ
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছানো এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের নিমিত্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েরweb portalচালু করা হয়েছে। এই web portal এ জেলার বিভিন্ন দপ্তর/বিভাগের উন্নয়নমূলক তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে। web portal এর ঠিকানাঃ www.meherpur.gov.bd
হেল্প ডেস্কঃ
সরকারি সেবা আরো দ্রুত ও সহজতর করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এই ডেস্ক থেকে জনগণ ভূমি রেকর্ড, বিভিন্ন দপ্তরের তথ্য, পাসপোর্টের আবেদন দাখিল ও পাসপোর্ট গ্রহণ এবং অভিযোগ দাখিলসহ বিভিন্ন সেবা পাচ্ছেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS